"ফেলুদা একাদশ" সত্যজিৎ রায়ের রচিত একটি উত্তেজনাপূর্ণ গোয়েন্দা গল্পের সংকলন, যা জনপ্রিয় বাঙালি গোয়েন্দা ফেলুদাকে নিয়ে লেখা। এই বইটিতে রয়েছে ১১টি চমকপ্রদ রহস্য, যেখানে ফেলুদার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও অসাধারণ অনুসন্ধানী দক্ষতা প্রদর্শিত হয়েছে। বাঙালি সাহিত্যের অনুরাগী, অপরাধ কাহিনি এবং গোয়েন্দা গল্পের প্রেমীদের জন্য এই বইটি এক দারুণ সংগ্রহ। সত্যজিৎ রায়ের অসাধারণ গল্প বলার শৈলী ও রহস্যপূর্ণ কাহিনির জন্য এটি একটি অপরিহার্য বই। Read more
Book |
|
Author |
|
Binding |
|
Publishing Date |
|
Publisher |
|
Edition |
|
Number of Pages |
|
Language |
|
ফেলুদা একাদশ বইটি সত্যজিৎ রায়ের একটি অসাধারণ গোয়েন্দা কাহিনি সংকলন, যা ফেলুদা এবং তার বিশ্বস্ত সঙ্গী মল্লিক ঠাকুরদার মাধ্যমে একটি উত্তেজনাপূর্ণ রহস্য সমাধান অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এই বইটি পাঠককে নিয়ে যায় সাসপেন্স, রহস্য ও উত্তেজনার এক অবিস্মরণীয় জগতে, যেখানে প্রতিটি গল্পই নতুন এক রহস্যের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। সত্যজিৎ রায়ের অসাধারণ গল্প বলার শৈলী এবং ফেলুদার অনন্য গোয়েন্দা দক্ষতা বইটিকে একটি বিশেষ স্থান করে দিয়েছে বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন হিসেবে।
ফেলুদার গোয়েন্দা মেধা: ফেলুদা, যিনি বাংলা সাহিত্যের সেরা গোয়েন্দা চরিত্র, তার সেরা কৌশল এবং গূঢ় বুদ্ধির মাধ্যমে প্রতিটি রহস্য সমাধান করেন। তার ধারালো মনোযোগ, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ এবং গতিশীল বিশ্লেষণ ক্ষমতা প্রতিটি গল্পকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
মল্লিক ঠাকুরদার মজাদার উপস্থিতি: ফেলুদার সহকারী মল্লিক ঠাকুরদার চরিত্র, তার স্নেহময় ও হাস্যরসাত্মক চরিত্র, বইয়ের কাহিনির মধ্যে একটা বিশেষ রসায়ন তৈরি করে। মল্লিক ঠাকুরদা ফেলুদার অনুসন্ধানী অভিযানে প্রয়োজনীয় সহায়ক এবং কখনও কখনও একটি হাস্যকর বিপরীত চরিত্র হিসেবে কাজ করেন।
বিভিন্ন রহস্যের জাল: "ফেলুদা একাদশ" বইটি ১১টি আলাদা কাহিনি নিয়ে গঠিত, যেখানে প্রতিটি গল্পের মাধ্যমে রহস্য, উত্তেজনা এবং খুনের গভীরতার এক নতুন অধ্যায় খোলা হয়। গল্পগুলি একে অপরের থেকে আলাদা, তবে প্রত্যেকটি পাঠককে উত্তেজিত রাখতে সক্ষম।
বিশ্বস্ত কাহিনির প্লট: প্রত্যেক গল্পে সত্যজিৎ রায়ের লেখা এক অতুলনীয় কাহিনির ভেতর রহস্যময় প্লট, অদ্ভুত চরিত্র এবং দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত পরিস্থিতির মাঝে ফেলুদার কার্যকলাপ পাঠককে চমকে দেয়। গল্পের রচনা, মোড় এবং সমাধান পাঠককে শেষ পর্যন্ত বসে থাকার জন্য বাধ্য করে।
বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যের পরম ঐতিহ্য: "ফেলুদা একাদশ" একটি অসামান্য গোয়েন্দা সংকলন, যা বাংলা সাহিত্যের গভীর ঐতিহ্য এবং গোয়েন্দা কাহিনির মূল ভিত্তি হিসাবে বিবেচিত হয়। এই বইটি নতুন প্রজন্মের পাঠকদের জন্য এক দারুণ শিক্ষা, যেখানে গোয়েন্দা কাহিনির বুদ্ধি, রহস্য এবং শৈলী রয়েছে।
বইয়ের বৈশিষ্ট্য: গল্পের মধ্যে রয়েছে দুর্দান্ত নির্মাণ, চরিত্রের মানসিক গভীরতা, ক্রাইম ডিটেকশন, চ্যালেঞ্জিং সাসপেন্স এবং অনেক অপ্রত্যাশিত মোড়, যা পাঠকদের প্রতিটি মুহূর্তে উদ্দীপ্ত রাখে।
কলকাতার ঐতিহ্য এবং স্থান: গল্পগুলিতে কলকাতার ঐতিহ্য, শহরের পরিবেশ এবং তার খ্যাতনামা স্থানগুলোও উঠে এসেছে, যা বইটির আবহে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফেলুদার বিভিন্ন অভিযান যেমন কলকাতার পুরনো অঞ্চলে ও ভ্রমণকালে, পাঠকদের শহরের এক ভিন্ন দৃশ্যের পরিচয় দেয়।
গোয়েন্দা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ দিক: ফেলুদা একাদশ একটি গোয়েন্দা বইয়ের শখীদের জন্য এক অমূল্য রত্ন, যা সাহিত্য এবং রহস্য প্রেমীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় হবে। সাসপেন্স, রহস্য এবং জীবন্ত চরিত্রগুলির একটি মনোরম সংমিশ্রণ পাঠকদের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
শ্রেষ্ঠ লেখকের সাক্ষর: সত্যজিৎ রায়, যিনি বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, ফেলুদার মাধ্যমে গোয়েন্দা সাহিত্যের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এই বইটি তার শৈলীর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে গোয়েন্দা কাহিনির মধ্যে নতুনত্ব এবং উপভোগ্যতা রয়েছে।
"ফেলুদা একাদশ" শুধুমাত্র একটি গোয়েন্দা বই নয়, এটি একটি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, যা সত্যজিৎ রায়ের অসাধারণ লেখনী এবং বুদ্ধিদীপ্ত কাহিনির সমন্বয়ে এক মহৎ রচনা হয়ে উঠেছে।
Specifications | Descriptions |
---|---|
No Specifications |
Lorem, ipsum dolor sit amet consectetur adipisicing elit. Exercitationem, facere nesciunt doloremque nobis debitis sint?