"আমি পদ্দোজা" এলমা বেহরুজ এর লেখা একটি হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস, যেখানে আত্ম-অন্বেষণ, ভালোবাসা ও নারীর সংগ্রামী জীবনের গল্প উঠে এসেছে। কাব্যিক ভাষা ও গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে ভরপুর এই বইটি বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। Read more
"আমি পদ্দোজা" এলমা বেহরুজের এক শক্তিশালী সাহিত্যকর্ম, যেখানে নারীর আত্মপ্রকাশ, ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এক দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব এবং সমাজের চোখে মেয়েদের প্রতি প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। উপন্যাসের মূল চরিত্র পদ্দোজা — কেবল একটি নাম নয়, বরং এক প্রতীক, এক প্রতিবাদ, এক যন্ত্রণা ও স্বপ্নের সমষ্টি। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে পদ্দোজা যে লড়াই করে গেছেন, তা যেন আমাদের সমাজে প্রতিটি মেয়ের মনের গোপন কাহিনি।
এই উপন্যাসে প্রেম আছে, তবে তা শুধুই রোমান্টিক নয়; বরং প্রেমের গভীরতম দিক, আত্মিক টানাপোড়েন এবং বিশ্বাসভঙ্গের কষ্টও এখানে উঠে এসেছে। লেখিকা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে চরিত্রগুলোর মানসিক দ্বন্দ্ব, পারিবারিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং একজন নারীর মনোজগতে চলমান যুদ্ধকে তুলে ধরেছেন।
এলমা বেহরুজের ভাষা পরিশীলিত, গভীর এবং কাব্যময়। প্রতিটি অধ্যায় যেন একটি জীবন্ত ছবি, যেখানে পাঠক পদ্দোজার চোখ দিয়ে দেখতে পারেন সমাজ, সম্পর্ক এবং নিজের আত্মসত্তার খোঁজ। বইটির কাহিনি ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়, কিন্তু একবার শুরু করলে পাঠক থামতে পারবেন না—এ এক আবেগের জলপ্রবাহ, যা মন ছুঁয়ে যায়।
"আমি পদ্দোজা" সেইসব পাঠকদের জন্য, যারা সাহিত্যে শুধু বিনোদন নয়, বরং উপলব্ধি, আত্মবিশ্লেষণ এবং জীবনদর্শনের ছোঁয়া খোঁজেন। এটি একটি নারীকেন্দ্রিক উপন্যাস হলেও, এর বার্তা সর্বজনীন—নিজেকে জানার, ভাঙনকে আলিঙ্গন করার এবং নতুনভাবে বাঁচার।
এই উপন্যাস কেন পড়বেন?
নারীর আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানসিক বিকাশ
প্রেম, প্রতারণা, আত্মসংঘর্ষের বাস্তব ও সংবেদনশীল চিত্রায়ন
কাব্যিক ভাষায় গভীর জীবনদর্শন
সমসাময়িক সমাজের নারীবাদী প্রশ্নবোধ
Specifications | Descriptions |
---|---|
Lorem, ipsum dolor sit amet consectetur adipisicing elit. Exercitationem, facere nesciunt doloremque nobis debitis sint?